সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ১১:৩৯ পূর্বাহ্ন
পটুয়াখালীর বাউফলে তেতুলিয়া নদীতে প্রশাসনের মা ইলিশ রক্ষার অভিযানে দুই পুলিশ সদস্য’র আটক হওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখছে কর্তৃপক্ষ।
এরইমধ্যে ওই দুই পুলিশ সদস্যকে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দর (সাহেবেরহাট) থানা কর্তৃপক্ষ তাদের হেফাজতে নিয়ে এসেছে এবং ঘটনার তদন্তও শুরু করেছে।
আর ঘটনার তদন্ত শেষে পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের সত্যতা পেলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানিয়েছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঞা।
এদিকে থানা পুলিশের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানিয়েছে, যেহেতু ওই দুই পুলিশ সদস্যকে অন্য একটি জেলার নদী থেকে আটক করা হয়েছে তাই পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কেন তারা সেখানে গিয়েছিলন, তাদের সাথে পুলিশের আর কে কে ছিলে। এসব বিষয়ই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে বিষয়টি তদন্তাধীন বিধায় এ বিষয়ে এখন কিছু বিস্তারিত জানাতে রাজি নন তিনি।
উল্লেখ্য রোববার (২০ অক্টোবর) পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় তেতুলীয়া নদীর ধুলিয়া পয়েন্টে মা ইলিশ রক্ষার অভিযানে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দর (সাহেবেরহাট) থানার কনস্টেবল জুলফিকার ও মোহাম্মদ আলীকে আটক করে স্থানীয় প্রশাসন। ওই অভিযানে আরো ৪ জেলেকে আটক করা হয় এবং জব্দ করা হয় মা ইলিশ।
পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্যাহ সাংবাদিকদের জানান, রোববার বিকেলে বাউফল উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মৎস্য কর্মকতার্ এবং নৌ পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে একটি দল অভিযানে নামে। তেতুলিয়া নদীর ধূলিয়া পয়েন্টে ইলিশ ধরারত একটি ট্রলার আটক করে। ওই ট্রলার থেকে বরিশাল বন্দর থানার মো. জুলফিকার ও মোহাম্মদ আলী নামের দুই পুলিশ সদস্য ও ৪ জেলেকে আটক করা হয়। অভিযানের সময় দুটি স্পীড বোটসহ অন্যরা পালিয়ে যায়।
তবে অপর একটি সূত্র বলছে, যারা পালিয়েছে তাদের সাথে বন্দর থানার অপর দুই পুলিশ সদস্য এএসআই এরফান ও তরিকুল ছিলেন। যদিও এ বিষয়ে এখনো কারো সুস্পষ্ট বক্তব্য পাওয়া যায়নি।